অধমের নাম কল্পতরু, অবশ্য সে মায়-বাপে দেওয়া নাম না। মনগড়া। কেন জানি না কি খেয়াল এল! মনে হল যদি কল্পতরু হতাম, তবে সবার কেমন ইচ্ছেগুলো পুরণ করতাম। অনেক মজা হত!
আর বিশেষ কিছু কহতব্য নাই স্বীয় ব্যাপারে।
এ জায়গা আমার মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম আস্তানা। ছোটবেলায় ফাঁকা মাঠে, গ্রীষ্মকালের গরম দাবদাহে বেরিয়ে পড়তাম। দূরে মাঠের সে প্রান্তে ছিল একটা বাঁশবন। সে বাঁশবনের ছায়ায় বসে, ঝরা শুকনো পাতায় বনফল দিয়ে ছবি আঁকতাম। কি আঁকতাম তা বুঝতাম না। তবে আঁকতে বেশ মজা লাগত। এও যেন সেই ঝরা বেনুবন!আর তার বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে অজস্র পাতা! শুকনো, ফাঁকা, খসখসে! এবার আমার আঁকার পালা আগেই বলেছি কি আঁকবো, কেন আঁকবো, কখন আঁকব বা কিভাবে আঁকব- সেসব আমার কিচ্ছু জানা নেই। জানি শুধু আঁকব। এঁকে ছবি ফোটানোর চেষ্টা করব। খারাপ হলে অবশ্যই কটূভাষ্য প্রাপ্য। কিন্তু ভালোর প্রাপ্য কিছু নয়। তবে আমার বেখেয়ালী, খামখেয়ালী কাজে আপনারা হাত লাগাতেই পারেন। পারেনও হাত বাড়াতে।যদি পাগল হতে চান শুধু অনুরোধ আমার এই পাগলামীকে আমারই থাকতে দিন, এ পাগলামীর ভুতকে নিজের বশে, নিজের নামে করতে যাবেন না যেন! নইলে ঘোর বিপদ ঘনিয়ে আসবে আপনার কপালে!